(দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু): কলারোয়ার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনষ্টিটিউশন বৃক্ষ রোপণের জন্য সারা বাংলাদেশের মধ্যো প্রথম পুরস্কারে ভুষিত হয়েছে। ধারদিয়া খেঁয়াঘাট সংলগ্ন এই প্রতিষ্ঠানটি মাইকেল মধুসুধন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত। শতবর্ষি এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুনামের সাথে দৃর্ঘপথ অতিক্রম করেছে। যিনি ছাত্র ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের তিনি আজ প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আজিজুর রহমান। তার শ্রদ্ধাবোধ, মমত্যোবোধ থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানকে আগলে রেখেছেন।

বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের বন-২ একটি প্রঞ্জাপনে এমনি তথ্য প্রকাশ করেছে। হুবহু তুলে ধরলাম, প্রঞ্জাপনে বলা হয়েছে, বৃক্ষ রোপণে প্রধান মন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৯ “প্রদানের জন্য ১০টি শ্রেণীতে নিন্মক্ত প্রতিষ্ঠান/বেক্তিবর্গকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় কতৃক চুড়ান্ত ভাবে মনোনীত করা হয়েছে। প্রতিটি শ্রেনীতে পুরস্কার প্রাপ্ত বেক্তি/প্রতিষ্ঠানকে একটি সনদ, একটি ক্রেস্ট সহ একাউন্ট পেয়ী চেকে প্রথম পুরস্কারের জন্য ৩০হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য ২০হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য ১৫হাজার টাকার চেক প্রদান করা হবে। যৌথভাবে পুরস্কার প্রাপ্তরা অর্ধেক অর্থ পাবেন এই মর্মে প্রঞ্জাপন জারি করা হয়েছে।

(ক) শ্রেণীর, প্রথম পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনষ্টিটিউশন কলারোয়া, সাতক্ষীরা। দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, কাজী মফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, শিবপুর, নরসিংদী। তৃতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, শিয়ালী তালেমুন কোরান নুরানী ও হফেজিয়া মাদ্রাসা, শিয়ালী, পটুয়াখালী।
(খ) শ্রেণীর, প্রথম পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, মৌকরণ বি এল পি ডিগ্রি কলেজ, মৌকরণ, পটুয়াখালী। দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, আছমত আলী খান কলেজ, লাউকাঠী, পটুয়াখালী। তৃতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, আলহাজ মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ, দিঘলিয়া, খুলনা।
ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আজিজুর রহমান সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, শতবর্ষি এই প্রতিষ্ঠানটি তার নিজস্ব গতিতে চলছিলো, আমি আসার পরে ভেবেছিলাম প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়ন কিভাবে সম্ভব ও স্কুলে পরিবেশকে মনমুগ্ধ করবার পরিকল্পনা থেকেই সম্ভব হয়েছে আজকের এই সম্মানোনা। তিনি আরও বলেন পরিবেশ রক্ষা ও ছাত্রছাত্রীদের গভীর পাঠদানে মনোযোগী করার ক্ষেত্রে মনোরম পরিবেশের ভূমিকা অনশিকার্য এমন সার্বিক দিক বিবেচনা করে তিনি বৃক্ষরোপনে আগ্রহী হন।
সেই সাথে এলাকা বাসী, বন বিভাগ ও স্কুলের শিক্ষকদের অনুপ্রেরোনা ও সার্বিক সহযোগিতায় বৃক্ষ রোপনে সারা বাংলাদেশের কাছে ধানদিয়া হাইস্কুল এই সম্মানের জায়গায় পৌঁছেচে। সারা দেশের ১৬ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যো ধানদিয়া হাইস্কুল প্রথম পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে এটি প্রতিষ্ঠান ও এলাকা বাসীদের জন্য গর্বের। এ প্রতিষ্ঠানে ১৭.৫ বিঘা জমি রয়েছে, যা ছিলো বৃক্ষরোপনের জন্য উত্তম, আর সেই সুযোগ টি তিনি কজে লাগিয়েছেন।